গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এরপরই বিক্ষোভে নামে দেশটির জনগণ। জান্তা সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। ক্ষমতা দখলের দীর্ঘ ১৭ মাসে প্রতিরোধ বাহিনী ও সশস্ত্র সংগঠনগুলোর (ইএওএস) কাছে ৯০টি ফাঁড়ির দখল হারিয়েছে জান্তা সরকার।
খবর ইরাবতির।
নিজেদের প্রতিবেদনে থাইল্যান্ড ভিত্তিক মিয়ানমারের দৈনিক দ্য ইরাবতি জানায়, সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দাবি, জান্তা সরকারের ক্ষমতা দখলের ১৭ মাসে তাদের থেকে ৯০টি ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের ৩৬টি ফাঁড়ি রয়েছে।
দখলকৃতগুলো মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাঁড়ি রয়েছে; যেগুলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীদের অস্ত্র ও খাদ্য সরবরাহে ব্যবহৃত হতো।
সশস্ত্র সংগঠনগুলো বলছে, তারা রাখাইন রাজ্যের ৩৬টি, কাচিন রাজ্যের ২০টি, কায়াহ রাজ্যের ১৯টি, কারেন রাজ্যের ১২টি ও চিন রাজ্যের তিনটি ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে।
রাখাইনের ফাঁড়ি নিয়ে ইএওএস বলছে, রাজ্যের মংড়ু শহরের ৩০টি ও পালেতোয়া শহরের ছয়টি ফাঁড়ি দখল করা হয়েছে।
আগস্টের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানের (ইউএলএ) সামরিক শাখা আরাকান আর্মি পালেতোয়ার পাঁচটি ফাঁড়ি দখলে নেয়। একই সময়ে মংড়ুর একটি ফাঁড়ি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১৯ পুলিশ সদস্য মারা যায়।
ইরাবতি জানায়, সেখানকার ফাঁড়িগুলো দখলে আকাশ ও আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে জান্তা সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশের আকাশ সীমানায় ঢুকে পড়ে যুদ্ধ উড়োজাহাজ। এমনকি দেশটির অভ্যন্তরে আর্টিলারি পড়ে। এতে করে দেশটিতে থাকা মিয়ানমার দূতকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার।
এক পর্যবেক্ষকের বরাতে মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, রাখাইনে আরাকান আর্মির দাবির চেয়ে শাসকগোষ্ঠী আরও বেশি ফাঁড়ি হারিয়েছে।