নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভ করায় আওয়ামী লীগ নেতার ছোট ভাই ও ভাতিজাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার রামশাকাজীপুর আমতলী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজের ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন (৬০) ও তার ছেলে জামিউল ইসলাম জীবন (২৫)। এর মধ্যে জামিউল ইসলাম জীবন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, ফেসবুক লাইভে জামিউল ইসলাম জনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে রামশাকাজীপুর আমতলী এলাকায় যান। সেখানে জামিউল ইসলামের সাথে ফেসবুক লাইভ করা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, এ সময় আসাদুজ্জামান আসাদের লোকজন তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। জামিউলকে বাচাঁতে তার বাবা ফরহাদ এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জামিউলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজ জানান, জামিউল কোন অপরাধ করে থাকলে উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে জানাতে পারতেন। কিন্তু সরকারি লোক হয়েও তিনি যে গর্হিত ও অনাকাঙ্খিত কাজটি করেছেন তা করা উচিত হয়নি। এ বিষয়ে জেলার নের্তৃবৃন্দদের অবহিত করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ প্রতিকার দাবি করছি।
অভিযুক্ত উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ফেসবুক লাইভে এসে জামিউল ইসলাম জীবন তার বিরুদ্ধে নানা মানহানিকর তথ্য ছড়ায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামিউল প্রথমে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার লোকজন আমাকে বাচাঁতে আসেন। জামিউলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় জামিউলের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। তবে সেটি দ্রুতই নথিভুক্ত করা হবে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আসাদুজ্জামান আসাদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।