গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে বেলুন সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিনজনকে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসাব্বির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- মো. বাবুল, মনিক ও কিবরিয়া।
তবে এজাহারে তাদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর খানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে চলে যান। কিন্তু বেলুনগুলো আকাশের দিকে না উড়ে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে অবস্থিত ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সামনে পড়ে। এ সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে আসা মিরাক্কেল খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি বেলুনগুলো পুনরায় ওড়ানোর জন্য গেলে হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। এতে রনিসহ পুলিশের চার কনস্টেবল দগ্ধ হন।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেলুনের মধ্যে কৌশলে ক্ষতিকারক দাহ্য পদার্থ বা গ্যাস ব্যবহার করে বেলুন সরবরাহ করায় এগুলো বিস্ফোরিত হয়।
এমনকি বেলুনগুলো পার্শ্ববর্তী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে বিস্ফোরিত হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা ছিল বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শনিবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে। তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা কিংবা নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রেপ্তারসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম উত্তর) আবু তোরাফ মোহাম্মদ সামছুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের পুলিশের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় মিরাক্কেল খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, জেলা পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, গাছা থানার পুলিশ কনস্টেবল রুবেল, ইমরান হোসেন ও টঙ্গী পূ্র্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান দগ্ধ হন।
তাদের গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, জিল্লুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।