নেপালকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল দলের হাতে উঠল দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। আজ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে ধরাশায়ী করে স্বপ্নপূরণ করলেন সাবিনা-সানজিদারা।
পুরুষ দল একবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতলেও, নারী দল ফাইনালই খেলেছে এর আগে মাত্র একবার।
দ্বিতীয়বারেই বাজিমাত দলটির। পুরো আসরে দুর্দান্ত খেলা গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা ফাইনালে ছিল অদম্য। নেপাল ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামলেও তাদের কোণঠাসা করে রাখে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
অথচ ফাইনালের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ১০ মিনিটে। তবে তার বদলি হিসেবে নেমেই বাজিমাত করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। মাঠে নেমে ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। তাও দর্শনীয় এক গোলে।
প্রথমার্ধের শেষদিকে এসে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় ছোটনের দল। ৪১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে যান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার পাস থেকে গোল পোস্টের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো কৃষ্ণা রানী সরকার বল পেয়ে যান। এরপর দারুণ এক শটে নেপালের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলে নেপাল। একটি গোল শোধও দেয় তারা। ৭০ মিনিটে আনিতা বাসনেত ম্যাচে উত্তেজনা ফেরার। তার দারুণ গোলে আশার আলো দেখতে শুরু করে স্বাগতিক সমর্থকরাও। তবে এর মিনিট ছয়ের পর কৃষ্ণা রানি সরকার নেপালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। এবার ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা কৃষ্ণা।
এরপরও নেপাল অনেক চেষ্টা করেছে ম্যাচে ফিরতে। তবে কখনও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কখনও আবার গোলরক্ষক নিজের নৈপুণ্য দেখিয়েছে। তাতে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি নেপালের। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই শিরোপা উৎসবে মাতে সাবিনা-কৃষ্ণারা। দেশের পতাকা হাতে নিয়ে তাদের উদযাপনের রঙ কাঠমান্ডু থেকে এসে লেগেছে বাংলাদেশেও।