প্রথমে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় সোহেলের। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আমরা দুজনে বিয়ে করি। বিয়ের পর সংসার করি দেড় বছর। ইতোমধ্যে আমার প্রথম স্বামী লোকমান হোসেন বেপারী
বিদেশ থেকে এসে সোহেলের নিকট থেকে আমাকে নিয়ে আসে।তবে সোহেলের ইচ্ছানুযায়ী আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেই সোহেলের সাথে। সবই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু এলাকার মেম্বার এসে ঝামেলা শুরু করে। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জোসনা বেগম।
দ্বিতীয় স্বামীর মনরক্ষায় নিজের নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন তার সাথে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চামুরখী গ্রামে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, বিষয়টি আমি জানার পরপরই ছুটে যাই লোকামানের বাড়িতে। তাদেরকে অনেক বুঝানোর পরও যখন কোনো কথা শুনছিলনা, তখন আমি আল্টিমেটাম দেই মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার। তিনি বলেন, আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। দেখা যাক শেষমেষ কি হয়।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, চামুরখী গ্রামের সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে লোকমান হোসেন বেপারী প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী জোসনা বেগম পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জের নারগানা গ্রামের সোহেলের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে জোসনা বেগম সোহেলকে বিয়ে করে সোহেলের বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে লোকমান দেশে এসে তার স্ত্রী জোসনাকে সোহেলের নিকট থেকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে জোসনা বেগম তার পরকিয়া স্বামীকে খুশি করতে নিজের স্কুল পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী মেয়ে মীমকে গত সোমবার সোহেলের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়। এ বিয়েতে মীমের দাদা, ফুফু, চাচা কেউ রাজী না থাকলেও চুপচাপ রয়েছেন মীমের বাবা লোকমান।
মীমের দাদা সিরাজ উদ্দিন বেপারী বলেন, এমন একটা ন্যাক্কারজনক কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তিনি বলেন, মীম ভাকোয়াদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে লোকমানের স্ত্রী জোসনা বেগমের এহেন কর্মকান্ডের এলাকার মানুষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং এর দৃষ্টান্ত বিচার দাবি করেন।