রাগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন একটি বিষয়। রসুলুল্লাহ (সা.) রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার উম্মতের প্রতি জোর তাগিদ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, সেই ব্যক্তি শক্তিশালী নয় যে কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে, বরং প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তিই শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে (বুখারি)।
রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে দোয়াটি পাঠ করা যেতে পারে তা নিম্নে দেওয়া হলো-
দোয়া: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যমপন্থা কামনা করি।
রাগ মানুষকে ক্ষতি করে, সংসারসহ ধ্বংস করে একটি জীবন। রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই রাগান্বিত অবস্থায় শয়তানের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে। রাগ বা ঝগড়ার সময় আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম পড়ার মাধ্যমে শয়তান পালিয়ে যায়, ফলে রাগ ও ঝগড়া কমে যায়। এ ছাড়া অজুর মাধ্যমে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয় সে যেন অজু করে (আবু দাউদ)।
রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত জিকির, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফার, কোরআন তিলায়াতসহ নফল নামাজ আদায় করতে হবে।