কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে ফোনকল পেয়ে বাল্যবিবাহ ঠেকাল কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল আসে পুলিশের কাছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি ছেড়ে উভয় পক্ষের লোকজন গা ঢাকা দেয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার জানান, ফোনকল পেয়ে সদর থানা থেকে এসআই রাজ্জাকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে হরিরামপুর গ্রামের মৃত. করিম উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামের মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর (১৫) সাথে একই উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে রতনের বিয়ের আয়োজন চলছিল।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উভয় পক্ষকে একত্রিত করা হয়। সেখানে উভয়পক্ষ স্বীকার করে, দেশের প্রচলিত আইনে বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। যা বৈবাহিক জীবনে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষয়টি বুঝতে পেরে উভয়পক্ষ বাল্যবিবাহ দেবে না মর্মে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন এবং মুচলেকা দেন।
মেয়ের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, আমি অন্যের প্ররোচনায় ভুল বুঝে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলাম। এখন ভুল বুঝতে পেয়ে মুচলেকা দিয়েছি। অঙ্গীকার করেছি আমার মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবো না। কোন বাবা যেন আমার মতো এই ভুল না করেন। এতে আর্থিক ও মানসিক উভয় যন্ত্রণায় ভুগতে হয়।