কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ বন্দরের বন্ধ কন্টেইনার থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল মাদক। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০০ কোটি রুপি। গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখা বা এটিএস এবং ডিরেক্টোরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-পাঞ্জাব পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) এসব মাদক জব্দ করে।
ডিরেক্টোরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স এর তরফে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বন্দরে আসে একটি কন্টেইনার। তারপর থেকে এটি কলকাতা বন্দরেই ছিল। দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দর থেকে একটি শিপিং কন্টেইনারে পাঠানো হয়েছিল ৭ হাজার ২২০ কেজি মেটাল পার্টস। তারমধ্যেই ১২টি গিয়ারবক্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল হেরোইনের প্যাকেটগুলো।
সূত্রের খবর, শুক্রবার হঠাৎই কলকাতা বন্দরে অভিযান চালায় গুজরাট এটিএস ও ডিরেক্টোরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের গোয়েন্দারা৷ পরে জানা যায়, পাঞ্জাব ও দিল্লি পুলিশের একটি অংশও এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। তাদের কাছে মাদক আসার গোপন খবর ছিল৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এদিন একইসঙ্গে কলকাতা বন্দরের ১৬ এবং ৬ নম্বর গেটে যৌথ অভিযান চালানো হয়৷ তখনই একটি কন্টেইনারের অবস্থান দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। সেটি খুললে তার মধ্যে উদ্ধার হওয়া ৩৬টি গিয়ার বক্সের মধ্যে ১২টির মধ্যে সাদা দাগ দেয়া ছিল।
এগুলো খুলতেই কার্যত ঝোলা থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসে ৭২ প্যাকেট হেরোইন। প্রসঙ্গত, এই বছরের জুলাই মাসে গুজরাট এটিএস কচ্ছ জেলার আদনি নিয়ন্ত্রিত মুন্দ্রা বন্দরে একটি কন্টেইনার থেকে প্রায় ৩৭৬ কোটি রুপিরও বেশি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করে। তখন উদ্ধার হয়েছিল ৭৫ কেজিরও বেশি হেরোইন। গান্ধীনগরে গুজরাট পুলিশের ডাইরেক্টর জেনারেল আশিস ভাটিয়া এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই এইরকম বিশালাকার কন্টেইনার বিভিন্ন বন্দরে স্টোর করা থাকে। তারপর সেগুলো অন্য দেশে রপ্তানি হয়ে যায় বা দেশের অভ্যন্তরে নানা বন্দরে চলে যায়। এটিএসের দাবি কলকাতা বন্দরে থাকা কন্টেইনারে করেই হেরোইনগুলো অন্য দেশে পাচারের ছক কষছিল পাচারকারীরা। কিন্তু এদিনের অপারেশনে পাচারকারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।