সাতক্ষীরায় চা বিক্রেতা ইয়াসিন আলী হত্যার ৪ দিন পর তার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের লেকভিউ সংলগ্ন সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের কালভার্টের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নিহতের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
গত ৩১ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে বাইবাস সড়ক সংলগ্ন বকচরা এলাকার একটি জলাশয় থেকে সুলতানপুরের চায়ের দোকানদার ইয়াসিন আলীর মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত জুতা দেখে তার স্ত্রী তাছলিমা খাতুন নিহতের পরিচয় সনাক্ত করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় র্যাব-৬ এর সদস্য আজ রবিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর খালচর বস্তির নিজবাড়ি থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ভ্যান চালক শেখ জাকির হোসেনকে আটক করে। জিঙ্গাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বাকীর করেছে। তার পিতার নাম মৃত বাচ্চু শেখ।
পরে আজ সকাল ৯টার দিকে র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোসতাক আহমেদের নেতৃত্বে র্যাব-৬ এর একটি দল আসামী জাকির হোসেনকে নিয়ে নিহত ইয়াসিনের নিহতের মাথা উদ্ধারে অভিযানে নামে। দীর্ঘ তল্লাশীর পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের কালভার্টের নীচ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধারে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।
পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সামনে বাইপাস সড়কে সাংবাদিকদের নিয়ে একটি প্রেসব্রিফিং করে র্যাব। এ সময় র্যাব-৬ এর অধিনায় লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ প্রেসব্রিফিংয়ে জানান টাকা সংক্রান্ত লেনদেনের কারণে চা বিক্রেতা ইয়াসিনকে একাই হত্যা করে জাকির হোসেন। পাওনা টাকা না দেওয়ায় ১৫ দিন আগে থেকে সে হত্যার পরিকল্পানা করে। এর জন্য শহরের কামাননগর এলাকা থেকে একটি ধারাল চাপাতি ক্রয় করে সে।
হত্যার দিন ইয়াসিনকে রাত ৯টার দিকে নতুন একটি ব্যবসার কথা বলে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নেয় ভ্যান চালক জাকির হোসেন। সুযোগ বুঝে রাত ১২টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কে তাকে চাপাতি দিয়ে দেহ থেকে মাথা দ্বিখন্ডিত করে হত্যা করে জলাশয়ে ফেলে দেয়। পরে গোছল করে খুনি ভ্যানচালক জাকির হোসেন নির্বিঘ্নে বাড়ীতে চলে যায়। হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় র্যাব-৬ এর অধিনায়ক।