গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে বাচ্চা প্রসব ও
বাচ্চাসহ কিশোরীকে অহরণের অভিযোগে গাজীপুরের নারী ও শিশু নর্যাতন দমন আদালতে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনকে।
ভুক্তভোগীর বাবার করা পিটিশন মামলাটি আমলে নিয়েছে আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ দিয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কিশোরী গৃহকর্মীকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন। এক পর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে গেলে দুই মাস আগে চেয়ারম্যান তার বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে জোরপূর্বক গর্ভবতী কিশোরীকে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের দাবি তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন। মেয়েটিকে বাচ্চাসহ অপহরণ করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিএনএ টেস্টে তিনি অপরাধী হলে স্ত্রী সন্তান মেনে নেবেন বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান নারী ইউপি সদস্য ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজনের নামে কাপাসিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগ দিয়েছেন।