রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

লিখিত পরীক্ষায় পাস, মৌখিকে গিয়ে ধরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৭৩ সময় দর্শন

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী পদে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাস করে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন সাইমুম হাসান (২৫) নামে এক চাকরিপ্রার্থী।

শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় হাতের লেখা মিলিয়ে ওই চাকরিপ্রার্থীর জালিয়াতি ধরা হয়। পরীক্ষার্থীর জালিয়াতির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত সাইমুম রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গঙ্গা নারায়ণপুর গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে।তিনি ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুম স্বীকার করেছেন, তার পক্ষে লিখিত পরীক্ষায় অন্য একজন পরীক্ষা দিয়েছেন।

 

সাইমুম হাসান জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. ওয়ালিদ নামের এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই ওয়ালিদই সম্প্রতি তার চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যান। এতে তিনি উত্তীর্ণ হন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৪টি পদের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ১৩টি পদ অফিস সহায়কের। সাইমুম ওই পদেরই প্রার্থী। শনিবার বিকেলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সব প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছিলেন। তখনই সাইমুমের হাতের লেখায় গরমিল দেখা দেয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার হয়ে আরেকজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।

জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ওই পরীক্ষার্থী নিজে যে খাতায় লিখেছেন, সেই খাতায় তিনি শূন্য পেয়েছেন। আর তার হয়ে যিনি খাতা জমা দিয়ে গেছেন, তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না। এ ছাড়া তারা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখতেই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জালিয়াতির জন্য ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা মোতাবেক সাইমুমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাইমুমের হয়ে যিনি লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাকে ধরতে হলে মামলা করতে হবে। ওই প্রার্থীর ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71