গত শনিবার সন্ধ্যায় সেন্ট স্টিফেন দিবস উদযাপনের জন্য ‘ইউরোপের সবচেয়ে বড় আতশবাজি প্রদর্শন’ এর আয়োজন করা হয় হাঙ্গেরিতে। একইসঙ্গে দিনটি ছিল জাতীয় ছুটির
দিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরুর সাত ঘণ্টা আগে চরম আবহাওয়ার সতর্কতা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করে সরকার। তবে আবহাওয়া ছিল শান্ত – যার ফলে
আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান এবং উপ-প্রধানকে বরখাস্ত করে হাঙ্গেরির সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সেন্ট স্টিফেন দিবস উদযাপনের জন্য প্রায় ৪০ হাজার আতশবাজি প্রস্তুত ছিল। বুদাপেস্টের মধ্যাঞ্চলীয় দানিয়ুব নদীর ৫ কিমি (৩ মাইল) এলাকাজুড়ে ২৪০টি পয়েন্ট থেকে এসব আতশবাজি ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হয়েছিল। এই প্রদর্শনীটি সাধারণত ২০ লাখ মানুষ দেখে থাকেন।
কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর থেকে জারি করা চরম আবহাওয়া সতর্কতার কারণে সরকার ব্যাপক আয়োজনের এই অনুষ্ঠানটি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেয়। কিন্তু ন্যাশনাল মেটিওরোলজিক্যাল সার্ভিস ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল তা প্রতিফলিত হয়নি।
পরে বলা হয়, ঝড়ের দিক পরিবর্তন হয়েছে এবং বুদাপেস্টের পরিবর্তে পূর্ব হাঙ্গেরির কিছু অংশে আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে রাজধানী শহরে ঝড়-বৃষ্টি ছিল সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত। এরপর রোববার নিজেদের ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়ে সর্বজনীন ক্ষমাপ্রার্থনা করে আবহাওয়া দপ্তর। ওই পোস্টে ব্যাখ্যা করা হয়, অনিশ্চয়তা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের অংশ। কিন্তু ততক্ষণে এটি খুব দেরি হয়ে গেছে।
এরপর সোমবার হাঙ্গেরির উদ্ভাবন মন্ত্রী লাসজলো পালকোভিকস তাৎক্ষণিক ভাবে আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান এবং উপ-প্রধানকে বরখাস্ত করেন। তার নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়। আর এটি নিয়ে এখন হাঙ্গেরিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য ইউরোপের সবচেয়ে বড় আতশবাজি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রায় এক লাখ মানুষ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেখানে প্রতিবেশী ইউক্রেনে যুদ্ধের সময় আতশবাজি অনুষ্ঠান বাতিল করার এবং মিতব্যয়িতার আহ্বান জানানো হয়।