৯ বছরের যুবক নাঈম ইসলাম হাওলাদার। এলাকায় তার পরিচিতি বিস্ময় যুবক হিসেবে পরিচিত। নাঈম কোন কিছুর সাহাজ্য ছাড়াই পানির নিচে ডুব দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, নাঈম এক নাগাড়ে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়াতে পারে। এ ছাড়া বাদুরের মতো করে উল্টো হয়ে শুধুমাত্র পায়ের পাতা দিয়ে নিজেকে গাছের কাণ্ডের সাথেও আটকে রাখতে পারে সে। এমনকি তিন তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়েও অক্ষত আছে এ যুবক।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী গ্রামের ছেলে নাঈম। সম্প্রতি নাঈমের পুকুরে ডুব দিয়ে ৫০ মিনিট থাকার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তাকে নিয়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য। পানির নিচে ডুব দিয়ে থাকা ,একাধারে দীর্ঘপথ দৌড়ানো ছাড়াও নাঈম আয়ত্ত করেছে নানা শারীরিক কসরত।
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা নাঈম ইসলাম পত্তাশী বাজারে তার বাবা রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের রাইস ও মসলার মিলের দেখাশোনা করে। ছোট বেলা থেকেই দীর্ঘ সময় শ্বাস ধরে রাখার শখ ছিল নাঈমের। এ জন্য মাঝে মধ্যে সে পানিতে ডুব দিয়ে অনেক সময় অবস্থানও করত। একদিন বন্ধুদের সামনে পানিতে ডুব দিয়ে প্রায় ৫০ মিনিট ছিল পানির নিচে। তার এ ডুবে থাকার ঘটনা বন্ধুরা ভিডিও করে ছেড়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এরপর স্থানীয়রা সম্প্রতি পত্তাশী বাজার মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে নাঈমের পানির নিচে ডুবে থাকা এলাকাবাসীকে দেখানোর আয়োজন করে। সেদিন নাঈমের পানির নিচে ডুব দিয়ে থাকার দৃশ্য দেখতে পুকুর পাড়ে ভিড় জমায় স্থানীয় জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ। সেদিন নাঈম পানির নিচে এক ডুবে ছিল ৫২ মিনিট। পানিতে ডুব দেয়ার আগে পুকুরে চারটি বাঁশের টুকরো আটকে নিতে দেখা গেছে তাকে।
তবে নাঈমের এসব কার্যকলাপে চিন্তিত তার পরিবার। তাদের আশঙ্কা এসব করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়