গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নববধূ শ্রবনী আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যুতে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দায়ী করে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার। এসময় স্বামী শাকিল মুন্সীসহ দোষীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামবাসী।
জানা গেছে, শুক্রবার (৫ আগস্ট) উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের টিটুল মুন্সীর ছেলে শাকিল মুন্সীর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শ্রাবনীর। বুধবার (১০ আগস্ট) গোবিন্দপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্রাবণী আক্তারের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।শ্রাবণীর পরিবারের দাবী, বিয়ের ৫ দিনের মাথায় শ্রাবনীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিলো শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্রাবনীকে তার স্বামী শাকিল মুন্সী এবং তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে হতা করেছে। কিন্তু পুলিশ এ ঘটনায় কোন মামলা নেয়নি এবং প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাও নেয়নি। শাকিল মুন্সীসহ দোষীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নিহতের বাবা শাহাদত শেখ বলেন, আমার মেয়ের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। আমরা সন্দেহ করছি ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্যহত্যার করার কোন লক্ষণ ওর শরীরে ছিল না। ওরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি আইনের কাছে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করছি।
পরে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মুকসুদপুর থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর মিয়ার জানান, ঘটনার দিনে আমরা সংবাদ পাই গোবিন্দপুরে একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আমরা মেয়ের পরিবারের জন্য অপেক্ষা করি কিন্তু তারা কেউ না আসায় ছেলে পক্ষের অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।