তীবিট্রিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এমটিই জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বরাতে প্রতিবেদনটিতে বিবিসি জানায়, চলমান খরায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিদ্যুৎ উৎপাদনকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হবে।
বিবিসি বলছে, এ অঞ্চলে জলবিদ্যুতের পরিমাণ আগের থেকে ২০ শতাংশ কমেছে। এমনকি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো শীতল রাখতে নদীর পানির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। যার প্রভাব পড়বে সামনের জানুয়ারিতে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে পানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল গোটা ইউরোপ। তবে পানি সঙ্কটে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা বিদ্যুৎ করতে পারছে না।
ইতালির মোট বিদ্যুতের পাঁচ ভাগের এক শতাংশ পানি থেকে আসে। তবে গত ১২ মাসে তা ৪০ শতাংশ কমেছে। একই অবস্থা স্পেনের। তাদের কমেছে ৪৪ শতাংশ।
জলবিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তিত ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে রফতানি করা দেশ নরওয়েও। তারা বলছে, পানির পরিমাণ না বাড়লে তারা যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোতে বিদ্যুৎ রফতানি বন্ধ করে দিবে।
আগের বছর থেকে চলতি বছরের অর্থ্যাৎ ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউরোপের বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি চিত্র তুলে ধরেছে বিবিসি। যেখানে দেখা যায়, পারমাণবিক ও জলবিদ্যুতের উৎপাদন কমেছে। পারমাণবিক কমেছে ১২ শতাংশ। অন্যদিকে গ্যাসে বেড়েছে চার শতাংশ। বাতাস থেকে উৎপাদন বেড়েছে ১৬ শতাংশ। আরে সৌরবিদ্যুতে বেড়েছে ২৩ শতাংশ।
ব্র তাপদাহে পুড়ছে যুক্তরাজ্যসহ গোটা ইউরোপ। দেখা দিয়েছে খরার শঙ্কা। নদীগুলোতে কমে যাচ্ছে পানির পরিমাণ। এতে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে।