করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর পর এবার হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়। কারবালা প্রান্তরে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডিকে স্মরণে পুরান ঢাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাত ইমামবাড়া থেকে শুরু হয় এই মিছিল। এতে অংশ নেন সব বসয়ী নারী-পুরুষ।
হোসেনি দালানের ইমামবাড়া থেকে সকাল ১০টায় বের হওয়া মিছিলটি বকশিবাজার, উর্দুরোড, লালবাগ চৌরাস্তা, ঘোড়া শহীদের মাজার, আজিমপুর, নিউমার্কেট হয়ে ধানমণ্ডি দুই নম্বর সড়কের লেক পাড়ে
সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলে ধর্মীয় স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, রঙিন পতাকা হাতে নিয়ে চলতে দেখা গেছে পুরুষ, তরুণ, নারীদের। উপস্থিত ছিলেন বয়স্ক থেকে শিশুরাও।
কালো-লাল-সবুজের নিশান উড়িয়ে কারবালার শোকের মাতম ওঠে শত শত মানুষের অংশ নেওয়া এই মিছিলে। বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ কান্নার মাতম ধ্বনি তুলে এগিয়ে যায় মিছিলটি।
মিছিলের প্রথম অংশে দুটি কালো গম্বুজ বহন করা হয়েছে। জানা গেছে, বিবি ফাতেমাকে স্মরণ করে এই গম্বুজ বহন করা হয়েছে। মিছিলে কালো কাপড় দিয়ে হোসাইন (রা.)-এর প্রতীকী মরদেহ বহন করেন মিছিলে উপস্থিত মানুষেরা।
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া এবং এর আশেপাশের শিয়া সম্প্রদায় কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিলকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর এই নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সকালে রাজধানীর হোসানী দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া ও এর আশেপাশের শিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্কাবস্থানে রয়েছেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন র্যাব সদস্যরাও।
অন্যদিকে, সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ ও র্যাব।
চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্তরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।
কারবালার ময়দান নাম স্থানে গিয়ে শেষ হয়।