পটুয়াখালীর গলাচিপায় হয়রানি মামলা দিয়ে দুটি পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পোরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী রোডে।
এ বিষয়ে হয়রানি মামলার শিকার খালেক হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) জানান, আমাদের ২টি পরিবারকে এলাকা ছাড়া করে আমাদের জমা-জমি ও ঘর-বাড়ী লুটে পুটে খাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের একই এলাকার আলম দুয়ারী বাদী হয়ে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হয়রানি মামলা করেন। যার মামলা নং- সি,আর ১১৭/২০২২।
এ বিষয়ে হয়রানি মামলার শিকার গয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মকবুল হাওলাদার (৬৫) বলেন, জমা-জমিকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাদী আলম দুয়ারী আমার মেয়ে, মেয়ের জামাইকে সহ আমাকেও মামলায় আসামী করে। আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমরা এখন দিশেহারা। আমরা গরিব মানুষ। প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। সঠিক তদন্ত হলে সঠিক বিচার হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। হয়রানি মামলার শিকার মোসা. মাহমুদা বেগম বলেন, হয়রানি মামলা দিয়ে আমাদের ঘর-বাড়ী ভোগ দখল করে নিতে চায় আলম দুয়ারী। তিনি আরো বলেন, পৌরসভার নির্বাচনে আমরা না হতে পারায় আলম দুয়ারী আমাদের বিরুদ্ধে এনামে বেনামে হয়রানী মামলা দিচ্ছে। আমরা বাঁচতে চাই।
এ বিষয় নিয়ে গলাচিপা থানায় একবার বসা হয়েছিল। তখন গলাচিপা থানায় কর্তব্যরত এস.আই ছিলেন মো. মামুন, কাউন্সিলর সুশীল বিশ্বাস, কাউন্সিলর বশার মিয়াসহ আরো অনেকে উপস্থিত থেকে বিষয়টি সমাধা করেন। এ বিষয় নিয়ে প্যানেল মেয়র সুশীল বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসে একবার সমাধান হয়েছে। কিন্তু এখনও মামলা চলমান আছে তা আমার জানা ছিল না।
এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর বশার মিয়া বলেন, পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতি হিংসার শিকার এ মামলা। এখন পরিবার দুটিকে হয়রানি মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করতে পারলে মামলার বাদী তাদের ঘরবাড়ী সহ সবকিছু দখল করার লোভ করতেছে এবং পরবর্তীতে যাতে তারা নির্বাচন করে কাউন্সিলর হতে পারে তার নীল নকশা আঁকছে। তিনি আরো বলেন, মামলায় যে পরিমানে টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ যে পরিমান অংকের কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞ আদালত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে সঠিক ও সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে।
এ বিষয় নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর সুমন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি করায় দুটি অসহায় পরিবার আজ দিশেহারা। আসলে তারা নিরহ পরিবার। আদালতের ঝামেলা তারা বুঝে না।
এ বিষয়ে আলম দুয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহিন শাহ বলেন, হয়রানি মামলার শিকার পরিবার দুটি অসহায়। কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আদালতে মামলাটি চলমান সেহেতু আদালতই মামলাটি নিষ্পত্তি করবে।