দিনাজপুর পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত চীনা ও বাংলাদেশি ৫২ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই ২৭ জুলাই থেকে খনির নতুন কূপে পরীক্ষামূলক কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছিল। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। ২৬ জুলাই ১৪৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের পজিটিভ ফলাফল আসে। পরবর্তীতে ২৮ জুলাই ৩০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ৩৪ জন চীনা ও ২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা ২০ দিন আগে খনি থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু করি। প্রথম ৭ দিন প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলনের পর চূড়ান্তভাবে শুরুর কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- আগের মতো যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে খনির বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে গেছেন, তারা খনির বাইরে চলে গেছেন। শিগগির যে সকল লেবার বাইরে আছে, তাদের খনিতে ফিরিয়ে আনা হবে।
পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হলেও অন্য শ্রমিকদের দিয়ে কূপের উন্নয়ন কাজ চলছে বলেও জানান সাইফুল ইসলাম।