রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা দুর করা এবং সহজ ডট কমের যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি ও তার দাবির পক্ষের সমর্থনকারীরা। শুরুতে তিনি অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করলেও প্রশাসনের বাধার মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। এখন রনির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনেকেই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার তার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সাধারণ যাত্রীদের বাড়ি ফেরার অন্যতম বাহন ট্রেন। তবে রেলের টিকিট পাওয়া নিয়ে এবারের ঈদেও ছিলো জনসাধারণের ব্যাপক ভোগান্তি। গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের আসন সংরক্ষণ (বুকিং) করার চেষ্টা করেন মহিউদ্দিন। কিন্তু ভেরিফিকেশন কোড ছাড়াই তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। অথচ তিনি পাননি কোনো আসন বা টিকেটের রশিদ।
মহিউদ্দিন রনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সার্ভার কক্ষে অভিযোগ করলে তাকে বলা হয় ‘সিস্টেম ফল’ হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না পেলে যোগাযোগ করতে বলা হয় ৷ যদিও সে সময় কক্ষে থাকা কম্পিউটার অপারেটর ৬৮০ টাকার টিকিট ১২শ’ টাকায় বিক্রি করেন বলে অভিযোগ মহিউদ্দিন রনির। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পায়নি সে।
এরপর দুবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন কিন্তু সেখানেও প্রতিকার পাননি। বাধ্য হয়ে তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থানা পুলিশের বাধার মধ্যেও টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি সাইফুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে রেলস্টেশনে গিয়ে মহিউদ্দিনের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক জিএস ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, এনজিও সদস্য, শিক্ষার্থীসহ কিছু সাধারণ যাত্রী ৷
মহিউদ্দিন রনি জানান, ছয় দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করবেন। কালোবাজারিরা এখান থেকে সরে যেতে হুমকি দিলেও সে তার অবস্থানে অনঢ় রয়েছেন বলেও জানান।