মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা অংশ নেন।
টানা চতুর্থ বারের মতো আজ জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার তিনি ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরবেন। এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে করোনা ভাইরাস পরবর্তী অর্থনীতি মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপের ঘোষণা থাকবে। এতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৬ শতাংশ। এ ছাড়া বাজেটে অগ্রাধিকার পাবে কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাত। বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এবারের বাজেট প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে।
নতুন বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এটি জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারকে বেশি নির্ভর করতে হবে ব্যাংকিং খাতের ওপর। এই খাত থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৬৮ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেওয়া হবে ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।