পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরনের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সোহেল রানার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল জব্বার বাদি হয়ে গলাচিপা থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযুক্ত সোহেল ও গোলখালী ইউনিয়নের পূর্বগোলখালী গ্রামের ইমরান সরদারসহ চারজনকে আসামী করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সাত দিন পর পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে জবানবন্দি গ্রহন শেষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের আব্দুল জব্বার খানের মেয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ওই শিক্ষার্থী এসএসসির মডেল টেষ্ট পরীক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে যায়। এ সময় অভিযুক্ত সোহেল ও তার সঙ্গীরা ওই শিক্ষার্থীকে গলাচিপা পৌরসভার টি এন্ড টি রোড থেকে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। শিক্ষার্থীর পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে না পেয়ে মেয়েটির বাবা আব্দুল জব্বার গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর মামা মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি আমার ভাগ্নিকে পেয়েছি কিন্তু যারা আমার ভাগ্নিকে অপহরন করলো পুলিশ তাদেরকে এখনোম গ্রেফতার করতে পারেনি। এনিয়ে আমার বোনের পরিবার আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে। আমি চাই যারা আমার ভাগ্নিকে অপহরন করছে তাদের যথাযথ বিচার হয়।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর শওকত আনোয়ার জানান, সোহেল রানা বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। পরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে সোহেল ও তার সঙ্গীরা দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়।
পরে ওই শিক্ষার্থীকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গোলখালী ইউনিয়ন হতে উদ্ধার করা হয়।তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।