পটুয়াখালীর গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে চুরির অপবাদে মুন্না (১২) নামের এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে তিনদিন নির্যাতন করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে সকলকে জামিন দিয়েছেন।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের শাহজাহান কমান্ডারের ছেলে কিশোর মুন্না ওপর চুরির অপবাদে গত ৯ থেকে ১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় অমনাবিক নির্যাতন চালানো হয়। ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে আর কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুন্নার বাবা শাহজাহান কমান্ডার ও সৎ মা হাসিনা বেগম জানান, তারা ঢাকায় থাকেন।
মুন্না বাড়িতে থাকতো। মুন্নার নির্যাতনের খবর পেয়ে তারা বাড়িতে এসেছেন। তাদের ছেলেকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শিকল দিয়ে তিনদিন ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে হজরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ এবং তানিয়া বেগম দফায় দফায় মারধর ও নির্যাতন করেছেন। এরপর থেকে মুন্নার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ এক সপ্তাহ যাবত ছেলেটার কোনো খোঁজ নেই। বেচেঁ আছে না মেরে ফেলা হয়েছে আল্লাহ জানেন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হজরত আলীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, কিশোর মুন্নাকে উদ্ধার এবং প্রধান অভিযুক্ত হজরত আলীসহ অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।