নাটোরের সিংড়া উপজেলার, কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ টি শ্রেণী কক্ষে গত ৬ মে থেকে ধান শুকাচ্ছেন কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, কোহিনূর পারভীন।
৩ টি শ্রেণী কক্ষের শিক্ষার্থীদের বসার ব্রেঞ্চে একটি আরেকটির উপর রেখে ধান শুকাচ্ছেন।
এলাকা বাসীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে ধান রেখে শুকাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা, এমনকি তিনি সেখানে কয়েক বস্তা ধান রেখেই একটি কক্ষে ক্লাস করাচ্ছেন।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ জানান, আমি গত ৭ তারিখ থেকেই ৩ টি কক্ষ ধান রাখা দেখেছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধান রাখার কারনে আমাদের একই ক্লাস রুমে ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে।
কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মিত নতুন ভবনে শিফটিং হওয়ায় করোনা কালীন সময়ে আমাদের পুরাতন ভবনে উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস করানোর জন্য আমার কাছ থেকে শ্রেনী কক্ষের চাবি নেয়, প্রধান শিক্ষিকা।
কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর পারভিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শ্রেণী কক্ষের তিনটি পরিত্যক্ত রুমে আমি ধান রেখেছি।
আবহাওয়া অনুকূলে আসলে ধান সরিয়ে নিবো।
কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মঈনুল হক চুনু বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা আমার নিকট জানালে আমি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লোক পাঠাই।
ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্ম কর্তাদেরকে অবগত করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, আমি তথ্য পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কর্ম কর্তাদেরকে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেই।