ঘুর্নিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে রাংঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে ভারি বৃষ্টিপাতে রবিসষ্যের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক প্রায়চার শত একর জমির মুগডাল পানিতে তলিয়ে গেছে। এবছর তরমুজ চাষিরা ভাইরাসের কারনে ভাল ফলন না পাওয়ায় হতাশ।
লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় চাষিরা প্রায় নিঃস্ব। অনেকে পরিবার ছেরে ঢাকায় অবস্থান করছে।
মুগডালের ফলন তুলনামূলক ভাল ছিল সকলের চিন্তাছিল মূগডাল দিয়ে তরমুজের ক্ষতি কিছুটা হলেও পূষিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু প্রকৃতি সেটা হতে দিল কই? গতকাল ০৯/০৫/২২ইং রোজ সোমবার বার সকাল থেকে সারাদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে প্রায় সব মুগডাল, বাদাম, মরিচ, আলু ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। সারারাত বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতের পাকা মুগডাল ফেটে গজ জালাইয়া গেছে। এখন চাষিরা ক্ষেত থেকে ফসল সংগ্রহ করে বাড়ি আনার মত পরিবেশ নেই। কারন সব ডাল ফেটে পানির সাথে মিশে আছে।
এ বছর মুগডালের ফলন ভাল দেখে চাষিরা ক্ষেতে বসে গাছসহ কেটে মারাই দিয়ে একবারে নেওয়ার কথা চিন্তা করে। এ বছর লোক দিয়ে অনেকেই ফসল সংগ্রহ করেন নাই। প্রতি বছর ডাল পাকার সাথে সাথে এলাকার লোক দিয়ে ভাগে ফসল সংগ্রহ করত। দুই তিন বার তোলার পরে একবারে গাছসহ কেটে আনত। কিছু চাষি তাদের নিজস্ব লোকদিয়ে বৃষ্টির আগে কিছু ফসল সংগ্রহ করেন। গাববুনিয়া গ্রামের একজন চাষি মোঃ শুভ সিকদার (৪০) তিনি প্রতি বছর প্রায় ৬/৭ একর জমিতে মুকডালের চাষ করেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও তিনি ৬/৭ একর জমিতে মুগডালের চাষ করছিলেন। তার সাথে কথা বলে যানা যায়। তিনি বৃষ্টির আগে হলকা একটা তোলা দিয়ে মাত্র এক মন ডাল সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকি ডাল একবারে মারাই মেশিন দিয়ে ক্ষেতে বসে নেওয়ার কথা ছিল।
এখন তো বৃষ্টির বাধায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। বাকি ডাল তুলতে পারবেন কিনা তা বলতে পারেন না। এভাবে প্রত্যেকটি চাষির মাথায় হাত। তাদের মনে চিন্তার ভাজ কি ভাবে এই ক্ষতি পূষিয়ে উঠবেন। একই গ্রামের বাসিন্দা জনাব সৈয়দ মোল্লা ও তোফায়েল খান, কবির মোল্লা, ইয়াকুব মোল্লা, মোঃ আলী হোসেন হাওলাদার,দুধা মুন্সী এরা সকলেই কৃষক, কম বেশি সবাই মুগডাল,বাদাম, মরিচ,আলুর চাষ করছিল এরা সবাই বলেন। এ বছর তরমুজে লস খেয়ে আমরা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছি।
আবার যদি মুকডালেও ধরা খাই তাহলে আমাদের দেশ ছেড়ে পালানো ছাড়া উপায় থাকবে না। আমরা আমাদের রাংঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি অফিসার স্যারের প্রতি আকুল আবেদন তিনি যেন আমাদের বিষয়টা উপর মহলে আবেদন করেন। এবং সরকারের কাছ থেকে যেন আমরা কিছুটা হলে সহযোগিতা পাই।
তহলে এই ক্ষতি পূষিয়ে ওঠা সম্ভব নচেৎ না। এ ব্যপারে রাংগাবালী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জনাব মোঃ জিহাদ মাহমুদ এর সাথে দৈনিক জনতার কথা ২৪. কম এর প্রতিনিধি কথা বলেন। তিনি বলেন এটা তো প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখানে কাহারো হাত নেই। আমরা সবসমায় কৃষকের পাশে থেকে তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রত্যেক কৃষকের শতকরা ৩০% ফসলের ক্ষতি হয়েছে এটা আমরা যানতে পেরেছি। আমরা এ ব্যপারে উপরে তালিকা পাঠাবো উধ্বর্তন কমর্কর্তারা কি পদক্ষেপ নেয় দেখি। তিনি বলেন যা ক্ষতি হবার তা হয়েছে বাকি ফসল চাষিদের দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন।।