সুষ্ঠ প্রাকৃতিক ও প্রজনন বাড়ানোর লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন, গতকাল রাত ১২ টা এক মিনিট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসির ব্যবস্থাপণা পরিচালক বলছেন কাপ্তাই হ্রদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেসিং না করা হোলে মাছের উৎপাদন সংকট সমাধান কখনোই সম্ভব নয়।
এটি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ,দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সব থেকে বড় ও কৃত্রিম জলাধার এটি, এ হ্রদের উপর নির্ভর করে প্রায় ২০ হাজার জেলে এবং তাদের পরিবার। কালের বিবর্তনে এ হ্রদে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন। এ ছারা প্রজনন ক্ষমতা হারাতে বসেছে অধিকাংশ প্রজাতির মাছও।
এরফলে জেমন মাছ ধরায় দেখা দিয়েছে নানান সংকট তেমনি মেলেনা কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয়। এ ছারা মূল হ্রদের পানি কমেছে আশংকাজনক হারে। চলতি বছর ৯ মাস ফিসারি খোলা থাকার কথা থাকলেও এখানে মাছ শিকার বন্ধ করতে হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই। কাপ্তাই হ্রদ সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা নাহলে মাছের উৎপাদন সংকট সমাধান করা কখনোই সম্ভব নয় বলে জানায় মৎস্য কল্ল্যান কমিটির সভাপতি।
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে এবং নির্ধারিত সময়ের পুরোটা পেলে আরো অধিক পরিমাণে মাছ শীকার সম্ভব বলে জানায় মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপক। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠ এবং প্রাকৃতিক প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে হ্রদে ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
https://www.youtube.com/watch?v=p7JjYYppGKM