ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের ডেকে সারি সারি তোষক বিছানো হয়েছে দেখলে হয়ত মনেহবে এগুলো যাত্রীদের জন্য বিছানো , যাত্রী ওঠার আগেই ডেকের জায়গা দখল করার এক অভিনব কায়দা এটি।
এমন ভোগান্তি দিয়ে শুরু হয় সদর ঘাট থেকে লঞ্চযাত্রা। ইদ যাত্রায় দক্ষিণ বঙ্গগামী লঞ্চগুলোতে তোশক বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কৃত্রিম জায়গা সংকট তৈরী করে যাত্রীদের এসব তোশক নিতে বাধ্য করে লঞ্চকর্মীরা। এছাড়াও লঞ্চের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের বাড়তি দাম রাখা নিয়েও ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
কারো শোবার ঘর নয়। এটি লঞ্চের ডেক। তোষক বিছিয়ে আগেই দখল করা হয়েছে জায়গা। পরে কৃত্রিম সিট সংকট তৈরী করে এই তোষকগুলোই যাত্রীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর এ কাজটি করছেন লঞ্চেরই কিছু অসাধু কর্মী। এমন ভোগান্তিতে পরে সাধারণ যাত্রীরা জানান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিনবঙ্গগামী লঞ্চগুলোতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। কানায় কানায় পূর্ণ লঞ্চগুলোতে নেই তিল ধারনের ঠাঁই। আর এই অতিরিক্ত চাপের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর ডেক কর্মী মেতে উঠেছে এমন তোষক বানিজ্যে। এখানেই থেমে নেই যাত্রীদের ভোগান্তি।
প্রতিটি লঞ্চের ক্যান্টিন আর দোকানগুলোতে খাবারের কয়েকগুণ বাড়তি দাম রাখার অভিযোগ তো আছেই। তবে এতোসব অভিযোগের পরও নিশ্চুপ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ, যেন নিরবে সায় দিয়ে যাচ্ছে এমন অসাধু কর্মকান্ডের। নেই কোন সদুত্তরও।
এদিকে, ঢাকা থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া কয়েকটি লঞ্চে বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার খবর পাওয়া গেছে।
https://www.youtube.com/watch?v=R9OG6rmE74Q