পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ের ছয়দিন পরেই প্রেমিকা ফরিদা বেগমকে তালাক দেন লাভলু। অবশেষে সেই প্রেমিকার হাতেই খুন হন প্রেমিক। ঘটনা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বৃষ্ণপুর গ্রামের। এই হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর সেই ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বগুড়া পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) আকরামুল হোসেন।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন গ্রেপ্তার ফরিদা। ঘটনার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশও করেন তিনি। তার জবানবন্দি অনুযায়ী ৪০ বছরের আব্দুল গফুর নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
৪৫ বছর বয়সী ফরিদা বৃষ্ণপুর গ্রামের ফজর উদ্দিনের মেয়ে। তাকে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর গ্রেফতার হওয়া আব্দুল গফুর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে সোমবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, লাভলু ও ফরিদার আলাদা সংসার থাকলেও তারা জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। তাদের গোপন সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় ফরিদাকে ডিভোর্স দেন তার স্বামী মিনু বেপারী। পরে প্রেমিক লাভলুকে বিয়ে করেন ফরিদা। তবে বিয়ের ছয়দিন পরেই ফরিদাকে তালাক দেন লাভলু। ফরিদাকে নিহত লাভলু ডিভোর্স দিলেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তারা। ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরেও লাভলু ফরিদাকে বিভিন্নভাবে জিম্মি করে তার সঙ্গে নিয়মিত ঘনিষ্ঠ হতেন। সর্বশেষ ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রলোভনে লাভলুকে ডেকে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ফরিদা।
তিনি আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ফরিদা নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যান্য জেলায় পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আব্দুল গফুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।