ঈদের ছুটি শেষেই গ্যাসের দাম বাড়ার ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, দাম বাড়লেও এমনভাবে বাড়ানো হবে যাতে সরকারও বাঁচে জনগণেরও কষ্ট কম হয়। উভয় পক্ষের সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হবে।
ঘোষণা দিলেই বুঝতে পারবেন।
বিইআরসির সূত্র জানিয়েছেন, ঈদের আগেই গ্যাসের দাম বাড়াতে অব্যাহত চাপ দিয়ে যাচ্ছে অর্থ বিভাগ। উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে বলা হয় এক দিন আগে দিতে পারলে সরকারের লোকসান কম হয়। ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানির তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। বিদ্যুতের দামের সঙ্গে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ইস্যুটি জড়িত। তাই ১৮ তারিখের আগেই গ্যাসের দর ঘোষণা করতে চায় বিইআরসি। তবে ঈদের পরে ঘোষণা দিলেও কার্যকর হয়তো ১ মে থেকেই করা হতে পারে।
ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্ট অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বিতরণ কম্পানিগুলো প্রত্যেকটিই মুনাফায় রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় জনগণের বাড়তি দাম দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আর কম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখিয়ে দিয়েছি গ্যাসের দাম ১৬ পয়সা কমানো যায়।