অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে ইমরান খানকে। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়লেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তার। তবে এবার শুধু ইমরান খান নয়, তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগের তীর। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউন এক্সপ্রেস শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অফিশিয়াল নথির বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে পাওয়া ১৪২ মিলিয়ন রুপির মূল্যবান উপহার সামগ্রী নিজেদের কাছেই রেখেছেন। কিন্তু এসবের জন্য এসবের জন্য মাত্র ৩৮ মিলিয়ন রুপি দাম দিয়েছেন।
ওই নথিতে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে বুশরা বিবি ৮০০,২০০ রুপি মূল্যের মূল্যবান সামগ্রী নিয়েছেন। অথচ একটা পয়সাও তার পেছনে খরচ করেননি।
২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পাওয়া উপহারের তালিকা তার শাসনামলে তোশাখানার কাছে গোপন রাখা হয়েছিল ছিল। কর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য গোপন করার জন্যই তা গোপন রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
তোশাখানা হল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্থ একটি বিভাগ। পাকিস্তানের সরকারপ্রধান, সংসদ সদস্য এবং কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা স্বরুপ অন্য দেশের সরকার, রাষ্ট্রের প্রধান বা বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো মূল্যবান উপহার দিলে তার রেকর্ড রাখাই এই বিভাগের কাজ।
তৎকালীন সরকার এমন অবস্থান গ্রহণ করেছিল যে তোশাখানা সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিঘ্নিত হবে। তাই সে সময় এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
উপহারের তালিকায় দেখা গেছে, মূল্যবান বিভিন্ন উপহারের জন্য নামেমাত্র দাম দিয়ে সেগুলো নিজেদের কাছেই রেখেছেন ইমরান-বুশরা দম্পতি।
এসব উপহারের মধ্যে রয়েছে সাতটি বিলাসবহুল রোলেক্স এবং অন্যান্য দামী ঘড়ি থেকে শুরু করে সোনা ও হীরার গহনাসহ একাধিক নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি, একাধিক হীরার চেইন, লক্ষাধিক রুপি মূল্যের একটি দামী কলম, কাফলিঙ্ক, ডিনার সেট এবং সুগন্ধি।