নীলক্ষেত এলাকায় সংঘর্ষে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী নয়, তৃতীয় পক্ষ জড়িত। এমন দাবি করেছেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। আজ বুধবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন জানান, নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্সে হামলার যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে নিউমার্কেটের কেউ জড়িত ছিল না। সেখানে তৃতীয় পক্ষ হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সম্মানজনক অবস্থানে থাকে। কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ব্যবসায়ীরা করেনি। এখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল। তাদের কাজ এগুলো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজি, ফাও খাওয়া বা কম মূল্য পরিশোধ নয়, দুটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারীদের বিবাদ থেকে নিউমার্কেটে সংঘাতের শুরু সোমবার।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল নিউমার্কেটে প্রবেশ করে। হাতে রাম দা দেখে নিরাপত্তারক্ষী তা কেড়ে নেয়।
এরপর তারা ওয়েলকাম ফাস্টফুডে ঢুকে সেখান থেকে বেরিয়ে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দিকে যায়। সেখানে দোকানের বাইরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর মার খেয়ে পালিয়ে যায় বহিরাগত তরুণরা। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তারা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে ক্যাপিটাল নামের দোকানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
দোকান কর্মচারীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে খবর শুনে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলমেটধারী এক দল ছাত্র ৪ নম্বর গেটে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় দুই পক্ষে।
শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে নাহিদ (১৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় নাহিদ রাস্তায় পড়েছিলেন। তিনি বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করতেন।