জলি আক্তার অনিতা (২১) নামের এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছেন অটোরিকশা চালক স্বামী আশিকউল্লাহ। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের শাহীমসজিদ কোর্টপাড়া এলাকা থেকে অনিতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী আশিকউল্লাহ পলাতক রয়েছেন।
নিহত অনিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চরসার তলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
আশিকউল্লাহ বন্দরের কোটপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
অনিতার মা রুমি বেগম জানান, আশিক তার মেয়েকে টাকার জন্য চাপ দিত। মেয়ের সুখের জন্য তিনি রিকশা কিনতে দুই দফায় ৬৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু আশিক রিকশা না কিনে নেশায় টাকা খরচ করে ফেলে। এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে তার মেয়েকে হত্যা করে আশিক।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বন্দরের কোটপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে আশিকউল্লাহ প্রায় ৭ বছর আগে অনিতাকে বিয়ে করে বিদেশ চলে যান। দেশে ফিরে বেকার জীবনযাপনের একপর্যায়ে নেশাসক্ত হয়ে পড়েন আশিক। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে আনিতাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে নির্জনস্থানে ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে লাশটি পুড়ে যায়। স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, পলাতক আশিকউল্লাহকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে।