পটুয়াখালীতে শিবু দাস(৬০) নামের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাতে গলাচিপা উপজেলা শহর থেকে পটুয়াখালী জেলা শহরের নিজ বাসায় যাওয়ার পথে অপহরণের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আলাদা সংস্থা মাঠে কাজ করছে। ওই রাতেই পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া সড়কস্থ এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত প্র্যাডো গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসের গাড়ী চালক মিরাজও নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে অপহরনের পরপর তার স্ত্রী অনিতা রানী দাসের কাছে ২০ কোটি দাবী করা হয়।
শিবু লাল দাসের ছোট ছেলে দেবু দাস বলেন, ব্যবসায়িক কাজে গত সোমবার ১১ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে পটুয়াখালী শহরের পুরানবাজার এলাকার আখড়াবাড়ীর নিজ বাসা থেকে গলাচিপা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় শিবু লাল দাস। এর পরে গলাচিপা থেকে রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালীর নিজ বাসায় রওনা হয় তিনি। যা শিবু লাল মোবাইল ফোনে পরিবারকে নিশ্চিত করেছেন।
শিবু লাল দাসের মালিকানাধীন দাস এ্যান্ড ব্রাদার্সের ম্যানেজার ভবরঞ্জন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিবু লাল দাসের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিয়ে বন্ধ পেলে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরে তার ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোজে নামে এবং পুলিশ র্যাবকে অবহিত করে। তবে ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সাজেদুল ইসলাম জানান, অপহরণের ঘটনায় পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছে। তবে সঙ্গত কারনে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তাতে অভিযান ব্যহত হতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আহমাদ মাঈনুল জানান, এ ঘটনায় আমরা মাঠে রয়েছি। আপাতত অপহৃত শিবু লাল দাসের ব্যবহৃত গাড়ী বরগুনা জেলার আমরাগাছিয়া সড়ক থেকে উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অপর একটি সুত্র জানিয়েছেন ঘটনার পর রাতে শিবু লাল দাসের স্ত্রী অনিতার কাছে ২০ কোটি টাকা দাবী করার হয়েছে এমন তথ্য পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। মুক্তিপন চাওয়া ওই কলটি শিবু লাল দাসের ব্যবহৃত নাম্বার থেকেই করা হয়েছে বলে দাবী করেন পরিবার।
এদিকে শিবু লাল দাসের অপহরণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় শুরু করেছে তার শুভাকাঙ্খিরা।
একাধিক সুত্র বলেন, শিবু লাল দাস র্দীঘদিন ব্রীজ, ফেরীঘাট, খেয়াঘাটে টোল আদায়ের ইজারা ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। যা নিয়ে বিগত দিনে প্রতিপক্ষদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এছাড়াও তিনি টিসিবিসহ বিভিন্ন কোম্পানী পরিবেশক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। যা নিয়ে প্রতিপক্ষের রোশানলের শিকার হতে পারেন।