গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এই অভিযানে রাশিয়ার ছোঁড়া বোমা আর রকেটে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। দেশ ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ইউক্রেনে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অঞ্চল থেকে ১২শ’রও বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেডিক্টোভা। স্থানীয় সময় রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
আঞ্চলিক গভর্ণর ওলেগ সিনেগুবভ টেলিগ্রামে বলেছেন, জয় পাচ্ছে না বলে রুশ সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি আবারো বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাশিয়ার নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ এর সাথে আলোচনার পর এ নিন্দা জানান। বলেন, সকল যুদ্ধাপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়ার বিষয়ে তারা উভয়ে একমত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাবাহিনী আরো বড়ো ধরনের হামলা চালাতে যাচ্ছে। আমরা এ হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পূর্বাঞ্চলের অনেক বাসিন্দা হামলার আশংকায় পালাতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতিদিন আড়াই হাজারেরও বেশি লোককে এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে লুগানস্কের গভর্ণর সার্গি গেইডে জানিয়েছেন।
এদিকে, মস্কোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনের যত অস্ত্র প্রয়োজন সব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ন্যাটো দেশভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পরিকল্পনা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।