শ্রীলংকার ইতিহাসে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের বিক্ষোভের মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃততে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন গোতাবায়া রাজাপাকসে।
দেশটির চরম সংকট মোকাবেলায় গত ১ এপ্রিল থেকে এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত নতুন গেজেটের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে জরুরি অবস্থার অধ্যাদেশটি।
অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কা ভয়াবহ লোডশেডিং এবং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এর জেরে বিক্ষোভ চলছে দেশজুড়ে।
সংকটে জর্জরিত দেশটির নতুন নিয়োগকৃত অর্থমন্ত্রীও মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন নিয়োগকৃত অর্থমন্ত্রী আলী সাবরি দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে রোববার (৩ এপ্রিল) গভীর রাতে জনরোষের মুখে শ্রীলঙ্কা সরকারের ২৬ মন্ত্রী পদত্যাগে করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার সকালেই রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া বিরোধীদেরও সরকারে যোগ দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ চালানোর আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে চলমান আন্দোলনে। ঋণে জর্জড়িত দেশটিতে রিজার্ভ শুন্যের কোঠায়, তীব্র সংকটে বৈদেশিক মুদ্রা। যার প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। জ্বালানি সংকটে দেশটিতে ঘণ্টাব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর তীব্র ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা।