পটুয়াখালীর গলাচিপায় নিখোঁজ হওয়ার তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী কেয়ামণি। গত বছরের ১৫ নভেম্বর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়।
কেয়ামণি ওই এলাকার মৃত ইকবাল হোসেনের মেয়ে ও গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা শাহানাজ বেগম গত ১ ডিসেম্বর গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সরেজমিনে ও সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঘর থেকে বেড় হওয়ার পরে আর ঘরে ফেরেনি কেয়ামণি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি বলে ভিকটিমের মা শাহানাজ বেগম জানান। শুধু তাই নয়, মেয়েকে খুঁজে পেতে কোনো উপায় না পেয়ে অনেকের পরামর্শে গত ১ ডিসেম্বর শাহানাজ বেগম গলাচিপা থানায় একটি সাধাররণ ডায়েরি করেন যার নম্বর-১৭। তদন্তের দ্বায়িত্ব পান এএসআই মো. মাহাবুব।
কিন্তু সাধারণ ডায়েরি করার প্রায় আড়াই মাস পার হওয়ার পরেও মেয়ে কেয়ামণিকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন শাহানাজ বেগম।এ ব্যাপারে এএসআই মো. মাহাবুব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি নিখোঁজ হওয়া কেয়ামণির বিষয়ে সকল তথ্য অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এখনো উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানান। নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে কাল বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু স্কুলছাত্রী নিজেই ঘর থেকে বেড় হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ভিন্নতর কিছু তথ্য বেড় করার চেষ্টা ও উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আশা করছি খুব শিগগিরই নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রী কেয়ামণিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।