এবার কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে শুটকি উৎপাদনে কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে প্রয়োগ করা হচ্ছে পরমাণু প্রযুক্তি। এরই অংশ হিসেবে গত চার মাসে এখানে ছাড়া হয়েছে ১০ লাখ বন্ধ্যা মাছি।
শুটকি মাছকে জীবানুযুক্ত মাছির উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন একদল গবেষক। কক্সবাজারের মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপে বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদনের লক্ষে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ বন্ধ্যা মাছি ছেড়েছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের বিকিরণ কীট তত্ত্ব ও মাকর তত্ত্ব বিভাগ প্রথমবারেরমতো এই প্রকল্প হাতে নেয়। সংশ্লিস্টরা জানান, শুটকি মাছকে মাছির উপদ্রব থেকে রক্ষা করার জন্য আগে জেলেরা মাছগুলোতে কিটনাশনক ব্যবহার করতো। এতে প্রাকৃতিক মাছি শুটকি মাছের মুখে ডিম দেওয়ার কারণে মাছগুলো নষ্ট হয়ে যেতো।
আর শুটকি মাছ যেন মানবদেহে ক্ষতির কারণ না হয় সেই লক্ষ্যে পরমাণু শক্তি কমিশনের ল্যাবে উৎপাদিত এসব বন্ধ্যা মাছি ছাড়া হচ্ছে দ্বীপে। প্রাকৃতিক মাছির বংশবিস্তার রোধে এখন থেকে নিয়মিত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
আর বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদনের জন্য এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছে উৎপাদনকারীরা। বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া বাড়ানো গেলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শুটকি রপ্তানী করে বৈদেশিক আয় আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা ।
https://www.youtube.com/watch?v=3vxrM4bKbf4