মাঘ মাসের শেষ দিকে এসে বেড়েছে শীতের তীব্র দাপট। কাঁচের মতো স্বচ্ছ শিশির বিন্দুগুলো ভর করেছে সবুজ প্রকৃতিতে।
ভোর থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন থাকছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে। সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ পয়েন্ট ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোর থেকে বেলা যতই বাড়ছে কুয়াশাও যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে। সেই সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষজন কাহিল হয়ে পড়েছে। অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে বাসা-বাড়ি ও রাস্তার পাশে খরকুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
ভোর থেকে সকাল ১০টা- ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার থাকার কারনে জেলার সড়ক গুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
তীব্র শীতের কারনে জেলায় কাজ কমে যাওয়ায় ও গরম কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে।
এদিকে জেলা শহরের রাস্তার পাশে বসা পুরোনো গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে উপছে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। তীব্র শীতের সুযোগ নিয়ে কাপড় ব্যবসায়ীরা ৫০ টাকার গরম কাপড় ২০০ থেকে অড়াইশত টাকায় বিক্রি কটছে।
জেলা শহরের তেলীপাড়া এলাকার দিনমুজুর মোসলেম মিয়া জানান, বিকেল থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা থাকার কারনে বাহিরে বেরুনো যায় না। তাই কয়েকদিন থেকে কাজের সন্দানে বাহিরে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন পার করছি। সরকারী ভাবে কোন সহযোগীতাও পাচ্ছি না।
শহরের বিগিআর গেটের ভ্যান চালক রহিম উদ্দিন (৫২) জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারনে কোন মানুষ ঘর থেকেই বাহিরে বের হয় না। তাই ভাড়াও পাই না। ভ্যান নিয়ে এখানেই বসে থাকতে হয়। ভাড়া না থাকায় খুব কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবোল চন্দ্র সরকার জানান, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। আগামী কয়েকদিন এই এলাকায় তাপমাত্রা আরো কমবে বলেও জানান তিনি।
এই এলাকায় গত মঙ্গলবার (৪জানুয়ারী) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ পয়েন্ট ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।