নাটোরের বাগাতীপাড়ায় মাত্র ৪৩ দিন বয়সী একটি ছাগলের বাচ্চা থেকে মিলছে দুধ। ওই ছাগলের বাচ্চা নিজেও তাঁর মায়ের দুধ পান করছে। ওই ছাগলের মালিক উপজেলার জাম নগর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী
এদিকে প্রকৃতির এই অদ্ভুত খবর ছড়িয়ে পড়লে কৌতুহলী মানুষ ভিড় করেছেন ফরিদা বেগমের বাড়িতে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ফরিদা বেগমের স্বামীর মৃত্যুর পর দীর্ঘ দিন থেকেই ছাগল লালন পালন করে আসছেন। ওই ছাগলের আগেও আরো দুইবার বাচ্চা হয়েছে, কিন্তু এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। এইবার একটি মাত্র ছাগী বাচ্চা হয়েছে, আর এই বাচ্চাটি একা হওয়ার অল্প দিনেই হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠে। ছাগী বাচ্চাটি প্রসবের কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর ওলান বড় হতে থাকে।
এসময় অল্প অল্প দুধ বের হতে থাকে, গত কয়েকদিন থেকে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফরিদা বেগম ছাগী বাচ্চাটির ওলান টানলে দুধ বের হতে দেখে আশ্চর্য হন।, বিষয়টি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে কৌতুহলী মানুষ ফরিদা বেগমের বাড়িতে এসে ভিড় করতে থাকে। বিষয়টি এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
বাজিতপুর গ্রামের মনোয়ারা বেহম বলেন, কয়েকদিন থেকে শুনে বিশ্বাস হয়নি তাই দেখতে এসেছি। ফরিদা বেগম ওই ছাগী বাচ্চার ওলান টেনে আমাদের দুধ দুয়ে দেখালেন। ওলান গুলো অনেকটা বড় হয়েছে যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
ওই ছাগলের মালিক ফরিদা বেগম বলেন, প্রতিদিন দেখতে অনেক লোকজন আসছে। বারবার দুধ দুয়ে দেখাতে গিয়ে আমার বাড়ির. কাজ ঠিকমতো করতে পারছিনা। একদিনে প্রায় ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মতো দুধ বের হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার হোসাইন, মোঃ রাকিবুর রহমান বলেন, হরমোন জনিত কারনে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।