সারাদেশে বহুল প্রচারিত প্রথম সারির পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো’র নোয়াখালী প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান ও দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন-এর সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল আনোয়ার’কে মুঠো ফোনে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে একই মোবাইল নাম্বার থেকে দুজনকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুর ২ টা ১ মিনিটের সময় রফিকুল আনোয়ারের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল (০১৯১১-০৮৩৫৪০) নাম্বারে গ্রামীণফোনের ০১৭৫৮-২৭১৯০৪ নাম্বার থেকে কল করে কে বা কারা অকথ্য ভাষায় গালি-গালি করে এবং তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে।
পরে উক্ত নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর বিকেলে ঢাকাস্থ পল্টন মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং N২০০৯, তাং-২৯/৯/২১) করেন দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল আনোয়ার। পেশাগত কাজে দুপুরের ব্যস্ত সময়ে এমন হুমকি পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সম্পাদক রফিকুল আনোয়ারসহ তার অন্যান্য অফিস স্টাফ ও সহকর্মীরা।
তিনি বলেন, আমি আমার প্রাণনাশের আশংকা প্রকাশ করছি। তাই আমার জীবন-মান রক্ষার্থে বিষয়টি পল্টন মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরির নথিভুক্ত করেছি, আশা করি প্রশাসন হুমকিদাতাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন। এদিকে এর আগে দুপুর দুইটার দিকে একই নাম্বার থেকে প্রথম আলোর সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান কে ফোন দেয়া হয়।
মাহাবুব জানান, তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ্য। তবে দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর অফিসে অবস্থান করছিলেন তিনি। ঠিক দুপুর ২টার দিকে ০১৭৫৮-২৭১৯০৪ নাম্বার থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল আসে। তিনি রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বুঝার আগেই ওই প্রান্ত থেকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন।
এক পর্যায়ে তাকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দেন ওই ব্যক্তি। এ সময় ওই ব্যক্তি কোথায় এবং তার পরিচয় জানতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে তিনি জেলা জজ কোর্টের সামনে রয়েছে বলে জানান, তবে তার পরিচয় না দিয়েই ফোন রেখে দেন। পুরো কথপোকথনটি সাংবাদিক মাহাবুব তার ফোনে রেকর্ড করেন।
প্রায় ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের রেকর্ডে সারাক্ষণই মাহাবুবকে গালি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুধারাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল আনোয়ার ও প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক মাহাবুবুর রহমানকে হত্যার হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা