পটুয়াখালীর গলাচিপায় শেষ দিনে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বউ বাজারে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য কোরবানির পশুর হাট।
এতে দূর-দূরান্ত থেকে পশু নিয়ে আসা বিক্রেতারা কম দামে তাদের পশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে কম দামে পছন্দের পশু কিনতে পেরে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেলেও বিক্রেতারা হতাশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাটের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গলাচিপায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রভাব পড়েছে পশুর হাটেও। এসব হাটে বড় পশুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট পশুর চাহিদা বেশি। ক্রেতা কম হওয়ায় পশুও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা
। বউ বাজার হাট ইজারাদার মো. রহিম হাওলাদার জানান, কোরবানীর শেষ মূহুর্তে এসে ক্রেতা শূণ্য হওয়ায় আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন পশু বিক্রেতারা ও সকল হাট ইজারাদারগণ। পশু বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোরবানিকে সামনে রেখে সারা বছর পশু লালনপালন করে বাজারে আনার পর ক্রয়মূল্যের চেয়েও কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাড়িতে বসে যে দামে বিক্রি করা যেত হাটে প্রতিটি পশু তার চেয়ে অনেক কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে হাটে আনা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কাজ করছে একাধিক ভ্যাটেনারি টিম।
এ ছাড়া উপজেলার হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি জাল টাকা রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। উপজেলায় উল্লেখযোগ্য ৩০টি পশুর হাট বসেছে