সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

গলাচিপায় হত দরিদ্র পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর ১টি ঘরের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১
  • ১৫৭ সময় দর্শন

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের উত্তর পক্ষিয়া গ্রামের মো. আলম হাওলাদার (৫৫) এর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১টি ঘরের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। তার বাবার কোন জমি জমা না থাকায় মানুষের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে আশ্রিত হিসেবে।

স্থানীয়রা জানান, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. ছত্তার হাওলাদারের ছেলে আলম হাওলাদার। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আলম হাওলাদারের পরিবারটি নদী ভাংগনে পরায় আজ পথের ভিখারী হয়ে বেঁচে আছে।

আলম হাওলাদার একজন প্রকৃত জেলে। নদীতে মাছ ধরেই চলে তার সংসার। আলম হাওলাদার জানান, আমার জন্মের পরেই দরিদ্র পরিবারে হাতাশা দেখে আসছি। বাবা মারা যাওয়ার পরে ধরতে হয় সংসারের হাল। আমার মায়ের মৃত্যুর পরে পক্ষীয়ায় নদী ভাংগনে আমার বাড়ি ঘর চলে যাওয়ায় আমি অনেক অসহায় হয়ে পড়েছি।

এখন অন্য মানুষের জায়গায় আশ্রিত হিসেবে একটি বারান্দায় থাকি। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ঘরের আশায় অনেকের কাছে গিয়েছি। কেমনে যে একটা ঘর পাব, কোথায় যাব, কার কাছে যাব ভেবেই পাচ্ছি না। আমি একটি ঘর পেলে বাকি জীবনটা আমার একটু সুখে কাটাতে পারতাম।

আমার এক ছেলে গলাচিপা সরকারি কলেজে বিএ পাশ করেছে। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়ে ছেলেটাকে পড়ালেখা করিয়েছি। আমার পক্ষে এখন জায়গা জমি করে ঘর উঠানো সম্ভব না। আলম হাওলাদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৪৮) জানান, আমার স্বামী অনেক কষ্ট করেন। নদীতে মাছ ধরে রোজগার করে আমাদের ৬টি জীবন চলে। আমার স্বামীর কোন জায়গা জমি না থাকায় অন্যের বাড়িতে একটি বারান্দায় থাকি।

আমাদের সরকারীভাবে একটি ঘর দিলে আমরা সরকারের কাছে চির ঋণী থাকতাম। এ বিষয়ে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার বলেন, আসলেই আলম হাওলাদারের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত।

গলাচিপা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী বলেন, আলম হাওলাদারের পরিবার খুব কষ্টে দিন যাপন করছে। অন্য মানুষের সাথে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারীভাবে আলম হাওলাদারের পরিবার একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71