পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের উত্তর পক্ষিয়া গ্রামের মো. আলম হাওলাদার (৫৫) এর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১টি ঘরের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। তার বাবার কোন জমি জমা না থাকায় মানুষের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে আশ্রিত হিসেবে।
স্থানীয়রা জানান, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. ছত্তার হাওলাদারের ছেলে আলম হাওলাদার। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আলম হাওলাদারের পরিবারটি নদী ভাংগনে পরায় আজ পথের ভিখারী হয়ে বেঁচে আছে।
আলম হাওলাদার একজন প্রকৃত জেলে। নদীতে মাছ ধরেই চলে তার সংসার। আলম হাওলাদার জানান, আমার জন্মের পরেই দরিদ্র পরিবারে হাতাশা দেখে আসছি। বাবা মারা যাওয়ার পরে ধরতে হয় সংসারের হাল। আমার মায়ের মৃত্যুর পরে পক্ষীয়ায় নদী ভাংগনে আমার বাড়ি ঘর চলে যাওয়ায় আমি অনেক অসহায় হয়ে পড়েছি।
এখন অন্য মানুষের জায়গায় আশ্রিত হিসেবে একটি বারান্দায় থাকি। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ঘরের আশায় অনেকের কাছে গিয়েছি। কেমনে যে একটা ঘর পাব, কোথায় যাব, কার কাছে যাব ভেবেই পাচ্ছি না। আমি একটি ঘর পেলে বাকি জীবনটা আমার একটু সুখে কাটাতে পারতাম।
আমার এক ছেলে গলাচিপা সরকারি কলেজে বিএ পাশ করেছে। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়ে ছেলেটাকে পড়ালেখা করিয়েছি। আমার পক্ষে এখন জায়গা জমি করে ঘর উঠানো সম্ভব না। আলম হাওলাদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৪৮) জানান, আমার স্বামী অনেক কষ্ট করেন। নদীতে মাছ ধরে রোজগার করে আমাদের ৬টি জীবন চলে। আমার স্বামীর কোন জায়গা জমি না থাকায় অন্যের বাড়িতে একটি বারান্দায় থাকি।
আমাদের সরকারীভাবে একটি ঘর দিলে আমরা সরকারের কাছে চির ঋণী থাকতাম। এ বিষয়ে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার বলেন, আসলেই আলম হাওলাদারের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত।
গলাচিপা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী বলেন, আলম হাওলাদারের পরিবার খুব কষ্টে দিন যাপন করছে। অন্য মানুষের সাথে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারীভাবে আলম হাওলাদারের পরিবার একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।