করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় আবারও ‘কঠোর লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল সোমবার থেকে ‘কঠোর লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে তা পরিবর্তন করে ৩০ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন থাকবে। আর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ দিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে।
গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ২০ জনের বেশি সচিব ও সচিব মর্যাদার কর্মকর্তা, করোনা বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী, বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউনের কঠোরতা বৃহস্পতিবার থেকে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সীমিত পরিসরের লকডাউনে আর্থিক সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। তবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে গণপরিবহন।
সভা সূত্রে জানা যায়, লকডাউনে শিল্প কলকারখানা লকডাউনের আওতার বাইরেই থাকতে পারে। এই সময়ে রফতানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে ব্যাংকিং সেবা খোলা রাখা হতে পারে। আর সোমবার থেকেই গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বৈঠকে থাকা অন্য একটি সূত্র জানায়, রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও শ্রমিকদের হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়া-আসা করতে হবে। কারখানার মালিক বা শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরও কারখানায় থেকে কাজ করতে হবে।
কেউ গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কেউ বের হতে পারবেন না। শুধু জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্তরা প্রয়োজনীয় গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।