রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুমাইয়া খাতুন (১১) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের অতঃপর হত্যার আসামি শামীম (২১) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। নিহত শামীমের কাছ থেকে শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুন) রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহল দিচ্ছিলো। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত পুলিশের ওপর হামলা ও গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছুড়ে।
গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকালে পুলিশ তার নাম-পরিচয় জানতে পেরেছে।
এর আগে গত ১৯ জুন শনিবার গভীর রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগরে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, গত ১৯ জুন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়।
রোববার (২০ জুন) সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের গাদার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
তার মরদেহের যৌনাঙ্গে রক্ত দেখা গেছে। এ থেকে ধারণা করা হয় রাতের যে কোনো এক সময় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ খড়ের পালার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সন্ধান করছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত ছিলেন। তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।