নওগাঁর সাপাহারে সুমি (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টায় উপজেলার মাতৃছায়া ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার উত্তরপাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজার স্ত্রী।
স্থানীয়রা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯মাস পূর্বে সেলিমের সাথে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সেলিম বিষ কোম্পানী (সেট) চাকুরির সুবাধে স্ত্রী সুমি খাতুনকে গ্রামের বাড়িতে রেখে সে একায় উপজেলা সদরের সৌদি মসজিদ সংলগ্ন মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের একটি রুম নিয়ে ভাড়া থাকত।
গত ২২ জুন মঙ্গলবারে তাদের কোন এক আত্নীয়ের মৃত্যু হলে তার বাবা মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ি হতে মৃত আত্নীয়ের বাড়ি নিয়ে যায়।
বুধবার দুপুরে নিহত সুমির বাবা তার সুমিকে জামাইয়ের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য সাপাহার সদরের জিরো পয়েন্টে নিয়ে এলে জামায় সেলিম তার স্ত্রীকে নিয়ে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে এবং সন্ধ্যার দিকে সেলিম তার সুমির বাবাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ছাত্রাবাসে মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে নিহত সুমির পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে কৌশলে সেলিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সাপাহার থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল হতে সুমির বাম হাত সুতলি দড়ি দিয়ে বাধা এবং গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের শরীরের বিভিন্ন আলামত দেখে এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে।