সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঢাকা-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে নিমাণার্ধীন কুশিয়ারা ব্রীজের টুলবক্সে মাটি দেওয়া নিয়ে একটি কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উটেছে।
তবে বালি বৈধভাবে কেনা হলেও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায়, প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর উপর নিমানার্ধীন সেতু’র নিকটে পাইলগাঁও ইউনিয়নের এরারিয়া নামক স্থানে ঢাকা-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে টুলবক্স নির্মানে মাটি দেওয়ার কাজ পান স্থানীয় ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ।
তিনি মৌলভীবাজারের একটি বৈধ বালু মহাল থেকে বালু ক্রয় করে টুল বক্সে কাজ করার প্রস্তুতি নিলে একটি কুচক্রী মহল সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কথিত ২/১টি অনলাইন পোর্টালে ‘রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে।
চুক্তি অনুযায়ী ১ লা জুন টুলবক্সে মাঠি ফেলার কথা থাকলেও এখনো কোন মাঠি পড়েনি। কিন্তু রাতের আাধারে মাঠি উত্তোলন হচ্ছে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত দিনে একই এলাকায় পৃথক আরেকটি গ্রুপ কুশিয়ারা ব্রীজে মাটি দিয়েছিল।
এবার তারা টুলবস্কে বালু দেওয়ার কাজ পায়নি। এতে ক্ষোভে বৈধ বালু উত্তোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী সালেহ আহমদকে পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় ও হয়রানি করতেই একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এদিকে অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে এলাবাসীর নজরে আসে। সাজানো ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানান এলাকার সর্বস্থরের জনসাধারন।
প্রতিবাদি জনসাধারণ সরকারী কাজে বাঁধা সৃষ্টির জন্য এলাকার একদল জামাত সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। স্থানীয় ইসলামপুর বাগময়না তাজপুর, রসুলপুর জামে মসজিদের ইমাম মহি উদ্দিন, বাগময়না গ্রামের কাপ্তান মিয়া, রসুলপুর গ্রামের হারুন মিয়া জানান, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নানা কাজ ও রানীগঞ্জ ব্রিজে বালু দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।
তারা উক্ত কাজ ভাগিয়ে আনতে না পেরে বিভিন্ন অপপ্রচার করছে। ইতিমধ্যে ঐ এলাকায় কাজ পাওয়া বহিরাগত একাধিক ব্যবসায়ীকে নানাভাবে বিরক্ত করে এই সিন্ডিকেট।
যার কারনে অনেকেই সরকারি এসব কাজ নিতে অনাগ্রহী। তারা চান এ এলাকায় এই অসাধু সিন্ডিকেট ছাড়া অন্য কেউই সড়ক বা ব্রিজের কাজে মালামাল দিতে পারবেনা।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস বি এস কনষ্ট্রাকশনের কাছ থেকে টুলবক্সের মাঠি ভরাটের কাজ পেয়েছি।
লাভ বা লোকসান বড় কথা নয়। অত্র অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ নিয়েছি। কাজ শুরু করার আগেই একটি কুচক্রী মহল এবার কাজ নিতে না পেরে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। আমি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী বৈধভাবে বালু এনেছি।
এখন টুলবক্সে ভরাট কাজ শুরু হবে। আমরা এলাকার উন্নয়নে রাজনীতি করি। এই বৃহৎ সেতুর কাজ সম্পন্নের পথে। টুলবক্স এর কাজ শেষ না হলে কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অংশ হিসেবে ও ভাটি বাংলার উন্নয়নের রূপকার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্ঠায় মহাসড়কের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং স্বপ্নের সেতুর কাজ সম্পন্নের পথে।
দেশের সাথে অচীরেই এই এলাকা নব দিগন্তে রূপ নিতে যাচ্ছে । এস বি এস কনষ্ট্রাকশনের সাইট ইন্জিনিয়ার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে সেতুর কাজ প্রায় শেষ।
এখন টুলবক্সের মাঠি ভরাটের কাজ হলেই হয়। ১ লা জুন থেকে বালু ফেলার কথা। টুলবক্সে এখনো বালু মাঠি পড়েনি। মৌলভীবাজারের বৈধ ইজারা থেকে বালি মাঠি আনা হচ্ছে।
দ্রুত কাজ করার জন্য আমরা কাজ নেয়া প্রতিষ্টানকে তাগিদ দিচ্ছি। একটি পক্ষ গোপনে কাজের বিরোধিতা করে সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।