পটুয়াখালীর গলাচিপায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একশ বছরের পুরনো শ্রী শ্রী শীতলা ও কালি মন্দির। এটি উপজেলার অন্যতম প্রাচীনতম ‘কালি মন্দির’ হিসেবে সুপরিচিত।
মন্দিরটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দে নির্মিত হয়েছিল। নির্মাণশৈলী অনুযায়ী স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধারণা করেন, ১শ বছর আগে এক জমিদার এটি নির্মাণ করেন।
কালি মন্দিরটি প্রায় ১২ শতাংশ এলাকাজুড়ে অবস্থিত। যা মন্দিরের নিজস্ব জায়গা। মন্দিরের ভক্ত উত্তম সাহা জানান, এটি বহু বছর আগের মন্দির।
আগে এখানে প্রতিবছর চৈত্রর শেষে শীতলা পূজা ও কালি পূজা হত। কিন্তু বর্তমানে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মন্দিরটি জড়াজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। আগের মত আর পূজা দেয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে পরেশ দাস জানান, টাকার অভাবে মন্দিরটি এখন জড়াজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সরকারিভাবে অনুদান পেলে মন্দিরটি ফিরে পেতে পারে তার পুরনো ঐতিহ্য।
শ্রী শ্রী শীতলা ও কালি মন্দিরের সভাপতি নিপি সাহা বলেন, গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোড সাহা পাড়ায় রাস্তার পাশে অনেক পুরনো এই মন্দিরটিতে প্রতি বছরই পূজা অর্চনা হয়।
বছর দুয়েক আগে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মানের ব্যবস্থা করলেও মন্দিরের কোন সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সকল মহলের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে মন্দিরটি ফিরে পেতে পারে তার আগের সৌন্দর্য।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন বলেন, পৌরসভায় এখন বরাদ্দের টাকা নেই। বরাদ্দ আসলে মন্দিরটির জন্য ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, মন্দিরটির সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।