ধর্ষণ এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনির করা মামলায় প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ তরুণীদের নিয়ে তার বাসায় প্রতিদিন ডিজে পার্টি চালাতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, বাসায় প্রতিদিন ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন নাসির। উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করানো হতো। বাড়িটিতে যাতায়াত ছিল অনেকের।
এ ব্যাপারে কথা হয় গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর-তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা) এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানকালে নাসিরের বাসা থেকে বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। তার বাসায় উঠতি বয়সী নারীরা এসে মদপান করতেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তার বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন ছিল বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। প্রধান আসামি নাসির উদ্দিনসহ গ্রেপ্তারদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় বনানীর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানান তিনি।
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সোমবার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন পরীমনি। আসামি গ্রেপ্তার সকাল থেকেই রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয় উত্তরার এই বাড়িটিতে অবস্থান করছেন প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
বাড়িটির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অমিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিন নারীকে। জব্দ করা হয় দেশি-বিদেশ মদসহ মাদকদ্রব্য।