ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলের মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিনকে বদলি করা হয়েছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক আজ বুধবার (৯ জুন) দুপুরে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় ঠিক নয়। ওই ইউএনও বদলি হয়েছেন। তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয়েছে। এটা নিয়মিত বদলি বলা যায়।
এর আগে গত ১৭ মে দিনের বেলা একটি ছাগল উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। এ সময় নির্দেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তাকর্মী ওই ছাগলটি আটক করে। পরে ছাগলের মালিক সাহারা খাতুন ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগল বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি ছাগল আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেন ওই নিরাপত্তাকর্মী।
এরপর তাকে জানানো হয়, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু গরীব সাহারা খাতুন টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেননি।
সাহারা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পরে ইউএনও তার বাসার গৃহকর্মী মারফত সাহারা খাতুনকে খবর পাঠিয়েছেন, জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে যেতে। পরে ২৭ মে সেই জরিমানার টাকা নিজে পরিশোধ করে ছাগলটি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেন ইউএনও।
ওই সময় ইউএনও বলেছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, স্থানীয় সাংবাদিকদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা আমি দিয়েছি। সেই নারী ছাগল বিক্রি করে দেয়ার যে অভিযোগ করেছেন, সেটি সত্য নয়।