সময়টা খুব বেশি নয় মাত্র সাতদিন। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেল ২০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায় গতকাল সেটি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। এতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দ্রব্যটির দামের এই ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা বলছেন, এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসত। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই দেশটি থেকে পেঁয়াজ আসছে না। আবার পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকার হাটে এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যা বাজারে প্রভাব ফেলছে।
মসলাজাতীয় পণ্যের বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর থেকেই সরকার ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আমদানি অনুমোদন (আইপি) দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের অনেকেই মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দিয়ে চলাচল বন্ধের মেয়াদ ১৪ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কারণে আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। এই ধারণা থেকেও অনেক ব্যবসায়ী হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকার বাইরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রির বিভিন্ন হাটে প্রতি মণ (৪০ কেজি হিসাবে) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায়। স্থানীয়ভাবেই প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৫০-৫২ টাকা। আমদানিতে দেরি হলে পেঁয়াজের দাম আরও তিন থেকে চার টাকা বাড়তে পারে।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল প্রতি কেজি ৩১-৩২ টাকা। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫০-৫১ টাকায়।
গতকাল কারওয়ান বাজারের আড়তে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
পেঁয়াজের দামের এই ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের দিকেই আঙ্গুল তুললেন শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদ।
তিনি বলেন, সরকার আমদানির সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে। আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। যদি দেয় তবে কয়েক দিনের মধ্যেই দাম স্বাভাবিক হবে। আর যদি না দেয়, তাহলে দাম আরও বাড়বে।