ঘুর্ণিঝড় “ইয়াস” এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার
৬ নং ধানশালিক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বঙ্গোপসাগরের লবনাক্ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ, আবাদি জমি, পুকুর, মৎস্য খামার, পোল্ট্রি ও গবাদি পশুর খামারসহ বসত ভিটা।
গত তিনদিন যাবত অনেকেরই চুলায় আগুন দেওয়া হয়নি, কারো শোয়ার ঘরের চৌকিখাট পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে। অনাহারে অনিদ্রায় বাড়ীঘর থাকতেও বাস্তুহারার মতো দিন-রাত পার করছেন ভুক্তভোগীরা। অনেককে আশ্রয় নিতে হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে।
গত ১ বছরে নোয়াখালী খাল খননের ফলে জমি জমা বসতভিটা ভেঙে নদীতে রূপান্তরিত হয়ছে। তার উপরে অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে পানিতে ডুবে গেছে পুকুর ও মৎস প্রজেক্ট। জোয়ারের পানি লবনাক্ত হওয়ার কারনে পুকুরের মাছ, জমিনের ফসল ও ঘাস সব নিঃশেষ হয়ে গেছে।
আগামী দিনে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা,জোয়ার কিংবা জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় বিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নিবেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কর্মরত কর্মকর্তা এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারনের।